শিশুর পারিবারিক ক্ষেত্রে বিরোধ

পারিবারিক ক্ষেত্রে বিরোধ নিয়ে আজকের আলোচনা। এটা বয়ঃসন্ধির সমস্যার মধ্যে একটি গুরুত্বপুর্ন সমস্যা | শিশুর মন ও শিক্ষার ক্ষেত্রে এটা আমাদের ভাবার বিষয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে বিরোধ এবং ভাবনা কি হবে এটা নিয়ে আজ জানবো:

১. মা-বাবার নির্দেশিত বিধিসমূহকে এই তারুণ্য পুরোনো, বস্তাপচা কনজারভেটিভ বলে মনে করে। এরা ভাবে যে ওদের বন্ধুবান্ধবীদের মা-বাবারা অনেক বেশি আধুনিক এবং উদারমনা। [ নদীর ঐ পাড়ে বেশি সবুজ দেখে ! ]

২. পারিবারিক নিয়মকানুন, শৃঙ্খলার বন্ধন এবং নির্দেশাদিকে এরা অন্যায় আরোপ, পারিবারিক ক্ষেত্রে বিরোধ, ভাবনা বালসুলভ অত্যাচার বলে মনে করে। যে সকল পরিবারে মা বাবার মধ্যে একজনের, বিশেষকরে মায়ের, ক্ষমতা ও অধিকার বেশি সেখানে বিদ্রোহের সম্ভাবনা বেশি থাকে। অন্যদিকে মা-বাবার মধ্যে বেশ খোলামেলা সম্পর্ক থাকলে বিদ্রোহের সম্ভাবনা কমে যায়।

পারিবারিক ক্ষেত্রে বিরোধ

৩. বেশি ভাইবোন থাকলে ছোটদের প্রতি অবজ্ঞা আর বড়দের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ পেতে পারে। মা-বাবাকে এরা পক্ষপাতী বলে মনে করে : ‘আমাকে দেখতে পারো না’-র অভিযোগ সোচ্চার হতে থাকে, ‘ওদের বেলায় দোষ দেখতে পাওনা’-র ঘোষণা ঘটে।

৪. পরিবারের আর্থসামাজিক অবস্থান, আর্থিক নিয়মশৃঙ্খলা এদের মনঃপূত ঠেকে না। বন্ধুবান্ধবীদের পরিবারের ঔজ্জ্বল্য ও ঔদার্য এদের পীড়ার কারণ এবং বিদ্রোহের হেতু হয়ে ওঠে। তার সঙ্গে যদি পরিবারের কিছু-থেকে-অনেকটা দায়দায়িত্ব ঘাড়ে চাপে― (অনেক অবস্থা-দুরবস্থার কারণেই হতে পারে) তাহলে তো গোদের উপর বিষ ফোঁড়া !

পারিবারিক ক্ষেত্রে বিরোধ | বয়ঃসন্ধির সমস্যা | শিশুর মন ও শিক্ষা

৫. উদ্ধত-ধৃষ্ট-বিরক্তি-প্রকাশক ও সমালোচক কৈশোর-তারুণ্যের প্রতি পরিবার পরিজনেরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন, ধিক্কার দিয়ে থাকেন। ফলে বিরোধ অনিবার্য হয়। অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যায়।

৬. পরিবারের জনসংখ্যা বেশি হলে বিরোধের অবকাশ কমে যায়, খুব ছোট হলেও। যত গোলমাল তিন-চারটি হলেই।

৭. গৃহে-স্কুলে অযোগ্যতা, ব্যবহারের ঘাটতি, দায়-দায়িত্বে অবহেলা, নির্বোধের মতো কাজ ও অর্থব্যায়— এই সব ঘটলে মা-বাবা সমালোচনা থেকে শাস্তি পর্যন্ত যান। ওরা, সন্তানরা, এটা ভালমনে মেনে নেয় না। খিটিমিটি লেগে যায়। তা বাড়ে আর গড়ায়, গড়ায় আর বাড়ে।

৮. আত্মীয় পরিজনদের আগমনে, সমালোচনায়, মতামতে সন্তানরা বিরক্ত ও বিব্রত বোধ করে। সহ্য করতে পারে না। তাই নিয়ে পরে অশান্তির একশেষ হয়।

৯. ছিন্ন সম্পর্কের টেনশন হয় তখন যখন সন্তানরা বেশি বেশি স্বাধীনতা ভোগ করতে চায়, যখন তখন ঘরে ফিরতে চায়। যেখানে সেখানে থাকতে চায়, নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করে না। মা-বাবা ধৈর্য হারান যখন বিপরীত যোনির বন্ধুবান্ধবীর সঙ্গ জুটে যায়। গৃহ-ত্যাগ, গৃহ-বিতাড়ন ইত্যাদি ঘটতে পারে।

“নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপাড়েতে যত সুখ আমার বিশ্বাস।’ সন্তান ও মা-বাবা— উভয়পক্ষেরই বোঝার আছে। এমন মা-বাবা কম নেই যারা তাঁদের সন্তানদের মতোই মনে করেন যে যতীন্দ্রের ছেলেমেয়েরা অথবা অতীন্দ্রের, কতো শাস্ত, কতো ভালো, কতো অনুগত…..। সব কথা, সকল বিশ্লেষণ ছোটো পরিসরে বলে-তুলে ধরা যায় না।

দুপক্ষেরই আছে অনেক কথা, বক্তব্য। আছে তথ্যের সংগ্রহ এবং প্রমাণের পাহাড় । এই তথ্য ও প্রমাণের পাহাড় জমলো কেন? জন্মেই তো ওরা দেখেনি যে ‘ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি!’ মা-বাবাও হয়ে ওঠেন নি হিটলার-মহম্মদবিন্তুঘলক! তাহলে? এই ছন্দ পতনের মূল কোথায় ?

পারিবারিক ক্ষেত্রে বিরোধ, ভাবনা বালসুলভ অত্যাচার বলে মনে করে। যে সকল পরিবারে মা বাবার মধ্যে একজনের, বিশেষকরে মায়ের, ক্ষমতা ও অধিকার বেশি সেখানে বিদ্রোহের সম্ভাবনা বেশি থাকে। অন্যদিকে মা-বাবার মধ্যে বেশ খোলামেলা সম্পর্ক থাকলে বিদ্রোহের সম্ভাবনা কমে যায়।

৩. বেশি ভাইবোন থাকলে ছোটদের প্রতি অবজ্ঞা আর বড়দের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ পেতে পারে। মা-বাবাকে এরা পক্ষপাতী বলে মনে করে : ‘আমাকে দেখতে পারো না’-র অভিযোগ সোচ্চার হতে থাকে, ‘ওদের বেলায় দোষ দেখতে পাওনা’-র ঘোষণা ঘটে।

পারিবারিক ক্ষেত্রে বিরোধ | বয়ঃসন্ধির সমস্যা | শিশুর মন ও শিক্ষা

৪. পরিবারের আর্থসামাজিক অবস্থান, আর্থিক নিয়মশৃঙ্খলা এদের মনঃপূত ঠেকে না। বন্ধুবান্ধবীদের পরিবারের ঔজ্জ্বল্য ও ঔদার্য এদের পীড়ার কারণ এবং বিদ্রোহের হেতু হয়ে ওঠে। তার সঙ্গে যদি পরিবারের কিছু-থেকে-অনেকটা দায়দায়িত্ব ঘাড়ে চাপে― (অনেক অবস্থা-দুরবস্থার কারণেই হতে পারে) তাহলে তো গোদের উপর বিষ ফোঁড়া !

৫. উদ্ধত-ধৃষ্ট-বিরক্তি-প্রকাশক ও সমালোচক কৈশোর-তারুণ্যের প্রতি পরিবার পরিজনেরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন, ধিক্কার দিয়ে থাকেন। ফলে বিরোধ অনিবার্য হয়। অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যায়।

৬. পরিবারের জনসংখ্যা বেশি হলে বিরোধের অবকাশ কমে যায়, খুব ছোট হলেও। যত গোলমাল তিন-চারটি হলেই।

৭. গৃহে-স্কুলে অযোগ্যতা, ব্যবহারের ঘাটতি, দায়-দায়িত্বে অবহেলা, নির্বোধের মতো কাজ ও অর্থব্যায়— এই সব ঘটলে মা-বাবা সমালোচনা থেকে শাস্তি পর্যন্ত যান। ওরা, সন্তানরা, এটা ভালমনে মেনে নেয় না। খিটিমিটি লেগে যায়। তা বাড়ে আর গড়ায়, গড়ায় আর বাড়ে।

৮. আত্মীয় পরিজনদের আগমনে, সমালোচনায়, মতামতে সন্তানরা বিরক্ত ও বিব্রত বোধ করে। সহ্য করতে পারে না। তাই নিয়ে পরে অশান্তির একশেষ হয়।

পারিবারিক ক্ষেত্রে বিরোধ | বয়ঃসন্ধির সমস্যা | শিশুর মন ও শিক্ষা

৯. ছিন্ন সম্পর্কের টেনশন হয় তখন যখন সন্তানরা বেশি বেশি স্বাধীনতা ভোগ করতে চায়, যখন তখন ঘরে ফিরতে চায়। যেখানে সেখানে থাকতে চায়, নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করে না। মা-বাবা ধৈর্য হারান যখন বিপরীত যোনির বন্ধুবান্ধবীর সঙ্গ জুটে যায়। গৃহ-ত্যাগ, গৃহ-বিতাড়ন ইত্যাদি ঘটতে পারে।

“নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপাড়েতে যত সুখ আমার বিশ্বাস।’ সন্তান ও মা-বাবা— উভয়পক্ষেরই বোঝার আছে। এমন মা-বাবা কম নেই যারা তাঁদের সন্তানদের মতোই মনে করেন যে যতীন্দ্রের ছেলেমেয়েরা অথবা অতীন্দ্রের, কতো শাস্ত, কতো ভালো, কতো অনুগত…..। সব কথা, সকল বিশ্লেষণ ছোটো পরিসরে বলে-তুলে ধরা যায় না। দুপক্ষেরই আছে অনেক কথা, বক্তব্য। আছে তথ্যের সংগ্রহ এবং প্রমাণের পাহাড় । এই তথ্য ও প্রমাণের পাহাড় জমলো কেন? জন্মেই তো ওরা দেখেনি যে ‘ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি!’ মা-বাবাও হয়ে ওঠেন নি হিটলার-মহম্মদবিন্তুঘলক! তাহলে? এই ছন্দ পতনের মূল কোথায় ?

 

সূত্র: শিশুর পারিবারিক ক্ষেত্রে বিরোধ | বয়ঃসন্ধির সমস্যা | শিশুর মন ও শিক্ষা

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment