রান্নাঘরের শিশুর সাবধানতা নিয়ে আজকের আলোচনা। শিশুরা নানা কারণে অনেক সময় রান্না ঘরে গিয়ে থাকে। তাই আমাদের শিশুদের রান্নাঘরে নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে দেখতে হবে। আসুন দেখা যাক।
রান্নাঘরের শিশুর সাবধানতা
একজন ব্যক্তি তার পিতা-মাতার কাছে সবসময়ই সন্তান বা শিশু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকেন। তবে, নির্দিষ্ট সময়, স্থান অথবা ঘটনার প্রেক্ষিতে শিশুসুলভ আচরণ বা ষাট বছরের শিশু শব্দগুচ্ছেরও প্রয়োগ হয়ে থাকে। জীববিজ্ঞানের ভাষায় – মনুষ্য সন্তানের জন্ম এবং বয়ঃসন্ধির মধ্যবর্তী পর্যায়ের রূপ হচ্ছে শিশু। চিকিৎসাশাস্ত্রের সংজ্ঞানুযায়ী মায়ের মাতৃগর্ভে ভ্রুণ আকারে অ-ভূমিষ্ঠ সন্তানই শিশু।
- রান্নাঘরের মেঝে যেন খুব পিচ্ছিল না হয় ।
- রান্নাঘরে যেন যথেষ্ট আলো থাকে ।
- রান্নাঘরের দরজা-জানালা যেন টেমপার করা থাকে যাতে চট করে আগুন লাগতে না পারে ।
- নিচের দিকের তাকগুলো বন্ধ করে রাখা ভালো ।
- যখন কোনো জিনিস যেমন- তেল, ঝোল ইত্যাদি মেঝেতে পড়বে, সঙ্গে সঙ্গে কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।
- বঁটি, দা, ছুরি সব সময়ে কোণে সরিয়ে রাখতে হবে ।
- কখনোই দুধ, পানি ইত্যাদি আগুনে বসিয়ে চলে যাওয়া ঠিক নয় ।
- রান্না করতে করতে এমনভাবে ঝুঁকবেন না, যাতে আপনার শরীরের ধাক্কায় গরম পাত্র উলটে পড়ে যায় । রান্নাঘরে টেবিল ক্লথ ব্যবহার না করা।
- দেশলাই বাক্স সরিয়ে রাখতে হবে ।
- দেড়-দুই বছরের শিশুকে পাশে দাঁড় করিয়ে রান্না করতে নেই ।
- খুব উঁচুতে রাখা পাত্র নামাবার সময় সাবধানে নামাবেন, যাতে হাত থেকে ছিটকে আগুনে না পড়ে যায়।
- রান্নার সময় নিজের শাড়ির আঁচল গুটিয়ে রাখবেন ।
- পলিথিন ব্যাগ বা বোতল ইত্যাদি আগুন থেকে দূরে রাখতে হবে ।
- হাতে বল বা ছুড়ে খেলতে হয় এমন জিনিস নিয়ে রান্নাঘরের দরজার কাছে শিশুকে খেলতে দেওয়া ঠিক নয় ।
- গ্যাস ব্যবহার করবার সাধারণ সাবধানতা অবলম্বন করবেন ।

আরও দেখুনঃ